জায়েদ খানকে ঘিরে ফের উত্তাল সিনেমহল। দীর্ঘসময় ধরে শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে চিত্রনায়িকা নিপুণের সঙ্গে জায়েদের তুমুল দ্বন্দ্ব চলছে। এবার চিত্রনায়িকা মৌসুমিকে ঘিরে তার স্বামী ওমর সানীর সঙ্গে জায়েদ খানের দ্বন্দ্বে চলচ্চিত্রাঙ্গনে উত্তেজনার হাওয়া বইছে। ইতোমধ্যে শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর জায়েদ খানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওমর সানী।

সেখানে তিনি জায়েদের বিরুদ্ধে সংসার ভাঙার মতো গুরুতর অভিযোগ আনেন। জায়েদ খান নাকি গত ৪ মাস ধরে তার সহধর্মিণী মৌসুমীকে ত্যাক্ত-বিরক্ত করে আসছিল। জায়েদকে থামাতে খল অভিনেতা ডিপজলের দ্বারস্থ হন সানী। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি বলে জানান সানী।

রোববার শিল্পী সমিতিতে এসে লিখিত অভিযোগে এসব তথ্য দেন চাঁদের আলো খ্যাত তারকা ওমর সানী। জায়েদ খানের বিরুদ্ধে ওই লিখিত অভিযোগ ওমর সানী লিখেছেন, জায়েদ খান দ্বারা আমার সংসার ভাঙা এবং আমাকে পিস্তল বের করে মেরে ফেলার হুমকি প্রসঙ্গে অভিযোগ।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ওমর সানি অত্র সমিতির একজন সদস্য এবং সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি ছিলাম। দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, সমিতির সদস্য জায়েদ খান চার মাস ধরে আমার স্ত্রী আরিফা পারভীন জামান মৌসুমীকে নানাভাবে হয়রানি ও বিরক্ত করে আসছে। আমার সুখের সংসার ভাঙার জন্য বিভিন্ন কৌশলে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে আসছে। এ বিষয়ে তাকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিয়ে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি।

তার প্রমাণ আমার এবং আমার ছেলের কাছেও আছে। তাছাড়া মুরুব্বি হিসেবে আমি ডিপজল ভাইয়ের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছি। কিন্তু ওই বিষয়ের কোনো সমাধান হয়নি। ডিপজল ভাইয়ের ছেলের বিয়েতে জায়েদ খানের সঙ্গে দেখা হলে এ বিষয়ে সংযত হওয়ার জন্য আমি অনুরোধ করি। এতে সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং হঠাৎ করে তার পিস্তল বের করে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

অতএব, আমি মনে করি এমন একজন পিস্তলধারী সন্ত্রাসী বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য থাকতে পারে না। উল্লেখিত বিষয়ে বিশেষভাবে বিবেচনা-পূর্বক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি বিনীত অনুরোধ করছি।